মালদায় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে পরিকল্পনামাফিক তৈরি করা হয়েছে ট্যাব প্রতারণা চক্র। বিস্ফোরক এই দাবি মালদা জেলার প্রধান শিক্ষকদের একাংশে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের চাপে সীমান্ত এলাকার স্কুলগুলিতে অযোগ্য যুবকদের কম্পিউটার শিক্ষক ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির মতো কাণ্ড ঘটাতেই এদের নিয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন জেলার প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে গোটা রাজ্য যখন উত্তাল তখন মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে কেউ স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক, কেউ আবার সাইবার ক্যাফের মালিক, যিনি ফাঁকা সময়ে স্কুলের ডেটা এন্ট্রির কাজও করে থাকেন। এদের হাত দিয়েই ট্যাব কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ওদিকে আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মালদা জেলার প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। তাদের দাবি, পরিকল্পনা করেই ট্যাব কেলেঙ্কারি করতে মালদায় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে অযোগ্য কিছু যুবককে কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতারা।
মালদার চক সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ট্যাবের টাকা গায়ের করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চক্র জড়িত আছে। কিছু জায়গায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে, কিছু জায়গায় সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে এইসমস্ত জিনিসগুলো হচ্ছে। এদের সরকার নিয়োগ করেছিল অস্থায়ী ভাবে। তাদের এখন স্থায়ী পদে নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে। যেহেতু বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে হচ্ছে তাই প্রভাবশালী কোনও নেতার সুপারিশে হয়তো নিয়োগ হয়েছে। ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার স্কুলগুলোতেই এগুলোর প্রবণতা বেশি করে দেখা যাচ্ছে। সেখানে এই ধরণের নিয়োগ বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। পরিকল্পনামাফিক চক্র তৈরি করে এই ট্যাবের টাকা গায়েবে কাজে লাগানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অনেক মাথা থাকতে পারে সেখানে।’ তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি ফের এই ধরণের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু বিরোধিতা করার সাহস কারও নেই।
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘ধৃতদের মধ্যে প্রত্যেকেই শিক্ষিত। তাদের মধ্যে একজন সাইবার ক্যাফের মালিক ও একজন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষ রয়েছেন। তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক কি না তা তাদের নথি খতিয়ে দেখার পর বলতে পারব।’