জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে তৈরি হচ্ছে বাংলার প্রথম লুপ সেতু। আর এই সেতুকে ঘিরে মানুষের মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া সত্ত্বেও লুপ সেতু দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এর ওপরে। শুধু তাই নয়, অনেকেই আবার গাড়ি পার্কিং করে তুলছেন ছবি। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে যেভাবে ভিড় হচ্ছে তা সামলাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এবার এভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞায় জানানো হয়েছে যে লুপ সেতুর আধ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম।
আরও পড়ুন: বাংলার প্রথম লুপ সেতু হচ্ছে বাগরাকোটে, অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড়, উঠল সেলফির ঝড়
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অপূর্ব সুন্দর এই লুপ সেতু দেখতে দিন দিন ভিড় বাড়ছিল বাগরাকোট। কারণ পাহাড়ের ওপরে তৈরি হওয়া এই সেতু থেকে নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে সেখানে পর্যটকদের সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এই লুপ সেতুতে ঘিরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছিল। যার ফলে ভিড় সামলাতে গিয়ে কার্যত সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল দুই জেলার পুলিশকে। যদিও এই সেতু তৈরি এখনও শেষ হয়নি এমনকী সেঁতুতে ওঠানামার রাস্তাও ঠিকমতো তৈরি হয়নি। তার মধ্যেই সেখানে যেভাবে মানুষ ওঠানামা করছেন তাতে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণেই জেলা প্রশাসনের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছরের দ্বিতীয় রবিবারও ব্যাপক ভিড় হয়েছে লুপ সেতুতে। কার্যত সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। শুধু পুলিশ নয়, পর্যটকদের ভিড়ের কারণে কার্যত বিরক্ত হচ্ছেন বাগরাকোট ও চুনাভাটি এলাকার বাসিন্দারাও।
এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে লুপ সেতুর উপর ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । তাতে বলা হয়েছে, সেতুর আধ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও যানবাহনকে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা যাবে না। প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর প্রয়োজনের কারণেই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা তৈরি হয়েছে । সেই জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই লুপ সেতুটি তৈরি হচ্ছে। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই সেতু দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি লুপ সেতু দেখতে গিয়ে একটি গাড়ি উলটে ১৩ জন আহত হয়েছিলেন। তাই আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।