লোকাল ট্রেনে গ্রামের পরিচিত যুবকের পাশে বসে কলকাতায় যাত্রা করায় এক মহিলাকে একঘরে করার অভিযোগ উঠল মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘরে নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার নেলুয়া গ্রামে। ফতোয়া জারির পর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এমনকী নুন পর্যন্ত বিক্রি করছেন না দোকানিরা। সোমবার ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশ সুপারকে অভিযোগপত্র দিয়েছে পরিবারটি।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর ছোট মেয়ের মাথায় টিউমার রয়েছে। চিকিৎসা করাতে মাঝেমাঝেই কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে যেতে হয় তাঁকে। গত ২০ অগাস্ট সেজন্যই কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেনে চড়ে বসেছিলেন তিনি। ট্রেনে তাঁর পাশের আসেন বসেছিলেন গ্রামেরই আরেক যুবক। অভিযোগ, তখনই ট্রেনের কামরায় থাকা গ্রামের অপর এক বাসিন্দা গোপনে মোবাইল ফোনে ২ জনের ছবি তোলেন। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ান ওই যুবকের সঙ্গে পালাচ্ছেন ওই মহিলা। যদিও সেদিনই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
এই নিয়ে ২ সপ্তাহ ধরে গ্রামে শোরগোল চলার পর শনিবার বসে সালিশি সভা। গ্রামের ২৫ জন মাতব্বর সালিশি সভায় মহিলা ও তাঁর পরিবারকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু সালিশি সভায় হাজির হননি তাঁরা কেউ।
অভিযোগ, এর পর ওই পরিবারকে একঘরে করার নিদান দেন মাতব্বররা। কেউ ওই পরিবারকে কিছু বিক্রি করলে বা যাতায়াতের জন্য জমি ব্যবহার করতে দিলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে বলে জানানো হয়।
এর পর থেকে এলাকায় কোনও দোকানি পরিবারটিকে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন না। পরিবারটিতে রয়েছে ৫টি শিশু। সব কথা জানিয়ে নদিয়ার পুলিশ সুপার ঈশানী পালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারটি।