হোলির দিন নাকি তমলুকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করল বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, হোলির দিন নাকি বেশ কয়েকজনকে 'আল্লাহু আকবর' এবং 'জয় বাংলা' স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। বিজেপি নিজেদের পোস্টে একটি মহিলার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সেই মহিলাকে অভিযোগ করতে শোনা যায়, প্রতিদিন সেই এলাকায় বহু বাইকে করে বেশ কিছু যুবক এসে জমায়েত করে। এর জেরে এলাকার কেউ সেখানে ঠিক ভাবে বের হতে পারেন না। হোলির দিন নাকি এমন ৫০টি বাইকে প্রায় ১০০ লোক টুপি পরে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নাকি এক যুবককে তারা জিজ্ঞেস করেন, তুই কি হিন্দু? তারপরই নাকি মারধর করা হয়েছিল সেই যুবককে। তারপর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাকে। (আরও পড়ুন: আবু কাতালের সঙ্গে মৃত হাফিজ সইদ? ভাইরাল ভিডিয়ো ও ছবি ঘিরে বাড়ছে রহস্য)
আরও পড়ুন: ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের প্রশংসায় তথাগত রায়! বললেন...
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নিজেদের পোস্টে লেখে, বাংলায় হিন্দুরা অবরুদ্ধ! মমতার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের মারধর, হয়রানি করা হয়, তাদের চুপ করিয়ে রাখা হয়! হোলির দিন তমলুকের হিন্দু যুবকদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল শুধুমাত্র ইসলামবাদী হয়রানি প্রতিরোধ করার জন্য। সেই সময় মাতঙ্গিনী হাজরার একটি মূর্তির ওপর হামলা হয়। তখন জনতা ছুটে গেল, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখল! সেখানে 'জয় বাংলা' এবং 'আল্লাহু আকবর' বলতে বাধ্য করা হয়েছে। নয়ত হিংসার হুমকি দেওয়া হয়েছে! এটাই কি বাংলার হিন্দুদের ভবিষ্যৎ? জাগো! (আরও পড়ুন: 'দেশ বিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ', বাংলাদেশে গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব)
অপরদিকে দোলের দিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূমের সাঁইথিয়া। তার জেরে এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, হোলির দিনের সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। এদিকে হিংসার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২১ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এদিকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ নং ধারা অনুযায়ী সাঁইথিয়ায় এখনও বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। গোটা এলাকা জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে যাতে নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটতে পারে। (আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে পাকিস্তানে খতম একের পর এক ভারত বিরোধী জঙ্গি, একনজর দীর্ঘ তালিকা)
আরও পড়ুন: স্ত্রী ঊষাকে 'অসম্মান' করার অভিযোগ জেডি ভান্সের বিরুদ্ধে, ভাইরাল ভিডিয়ো
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সাঁইথিয়ার পাশাপাশি নানুরের কিরনাহার পুলিশ স্টেশন এলাকাতেও নাকি দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বেঁধেছিল। যদিও সেই সংঘাতে কেউ গুরুতর ভাবে জখম হননি বলেই দাবি করা হয়েছে। সেখানেও এলাকায় বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। নতুন করে যাতে কোনও রকমের সংঘাত না দেখা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর থাকছে স্থানীয় প্রশাসন। কোনও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যাতে উত্তেজনা তৈরি না করা হয়, তাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রশাসনের তৎপরতায় এখন সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করা হচ্ছে।