ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসি) আশ্বাসে কাটল জট। অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ট্যাঙ্কার ধর্মঘট তিনদিনের মাথায় উঠে গেল। শনিবার ধর্মঘট তুলে নিল ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনগুলি। সূত্রের খবর, টেন্ডারের বিষয়ে আগামিদিনে আলোচনা করা হবে বলে লিখিত আশ্বাস দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে রাজি হয়েছে দু’পক্ষই। আইওসির আশ্বাস পেয়েই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইওসিকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ভাড়া কমিয়ে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাছাড়া তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যদিও আইওসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেয়। টেন্ডারের বিষয়ে আগামদিনে আলোচনা করা হবে বলে লিখিত আশ্বাস দিয়েছে আইওসি। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখা হয়েছে। ট্যাঙ্কার মালিকদের অভিযোগ ছিল, টেন্ডারে পরিবহণ খরচ অনেকটাই কমিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান অয়েলের ৬ জেলায় মোট ৫০০ টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মৌরিগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো থেকে পেট্রল-ডিজেল নিয়ে কোনও ট্যাঙ্কার বেরোয়নি। সেই কারণে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও নদিয়ার একাংশে তেল সরবরাহ ব্যাহত হয়। ৫০০ টির মধ্যে ২৫০টি পেট্রোল পাম্পে তেল শূন্য হয়ে পড়ে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, বন্যা ও করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছে আইওসি কর্তৃপক্ষ। তবে ট্যাঙ্কার মালিকরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে, আগামিদিনে আশ্বাস মতো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে, ফের আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। তবে পেট্রল পাম্পগুলিতে যে তেল সংকট তৈরি হয়েছিল তা আপাতত কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।