চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে একজন জেল খেটে এসেছেন। আরেকজন এক পা বাড়িয়ে রয়েছেন জেলের দরজায়। কিন্তু দু’জনেরই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপাস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তার পর তিনি অভিযোগ করেন তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সেদিন তল্লাশি হয় তাপস ঘনিষ্ঠ প্রবীর কয়ালের বাড়িতেও। তিনিও দাবি করলেন, তাঁকে ফাঁসিয়েছেন তাপস সাহা।
শুক্রবার রাতে প্রবীর কয়ালের হাওড়ার শ্যামপুরের বাড়িতে যান গোয়েন্দারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিবিআই চলে যাওয়ার পর পর প্রবীর বলেন, যা করেছি তাপস সাহার কথা মতো করেছি। এর আগে এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা গ্রেফতার করেছিল প্রবীরকে। কয়েক মাস জেলও খাটেন তিনি। সেই প্রবীর সোমবার সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন, আমাকে তাপস সাহা ফাঁসিয়েছে।
প্রবীরবাবু বলেন, 'আমি একটা ছাপোষা মানুষ। কলকাতায় এমএলএ হোস্টেলের সামনে একটা দোকানে কাজ করতাম। সেখানেই ২০১৭ সালের তাপস সাহার সঙ্গে পরিচয় হয়। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। আমি জীবনে কোনও দিন তাপস সাহার বাড়ি যাইনি। আমি ওনার পিএ নই। ওনার জন্য কখনও কোনও প্রভাবশালীর বাড়িতেও যাইনি। ওনার সঙ্গে আমার কথা হত কলকাতায় এলে। এমএলএ হোস্টেলে থাকার সময় কখনও আমাকে ফলমূল কিনে দিয়ে যেতে বলতেন’।
তিনি দাবি, আমি নিয়োগ দুর্নীতির কিছুই জানি না। আমাকে শুধু শুধু ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে যতবার ডাকবে ততবার যাব।
ওদিকে তাপস সাহার দাবি, তাঁকে না জানিয়ে প্রবীর বহু মানুষের থেকে টাকা তুলেছেন। সেই টাকায় বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। তবে প্রবীরকে নিজের PA বলে মানেননি তিনিও।