রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের সূচনা করেছিলেন। সেই মতো কাজও হয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু, জলাশয়ের জটের কারণে সেই কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। অবশেষে সেই জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পর শুরু হতে চলেছে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথ নির্মাণের কাজ। মূলত ভবাদিঘি নিয়ে আন্দোলনের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। নতুন করে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেই জানিয়েছে রেল।
আরও পড়ুন: এবার ট্রেনে করেই যাওয়া যাবে ভুটান! বাস্তবায়নের পথে ১৭ বছর পুরোনো প্রকল্প
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রুটে প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে আন্দোলনের জেরে বাকি কাজ আটকে গিয়েছিল। নতুন করে কাজ শুরু করার জন্য সম্প্রতি দরপত্র ডাকা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষা করে এই কাজ করা হবে। নতুন করে পুরো কাজের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার আমরা দিয়েছি। রাজ্য সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ১১৪ কিলোমিটার রেলপথে নির্মাণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাবাদিঘি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল রেলের কাজের জন্য জলাশয়টিকে বুজিয়ে রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তার বিরোধিতায় আন্দোলন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে মামলাও হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাদের দাবি ছিল, এই দিঘির নামে গ্রামের নামকরণ। গ্রামের ১৭৫ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজের জন্য এই জলাশয়ের উপর নির্ভরশীল। অনেকেই সেখানে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ফলে এটিকে বুজিয়ে দিলে গ্রামবাসীদের রুজিতে টান পড়বে। তাই এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। তারপরে এই রেলপথ নির্মাণ থমকে যায়। অবশেষে গ্রামবাসীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে জলাশয়ের কোনও ক্ষতি না করে রেলপথ সিদ্ধান্ত তৈরি সিদ্ধান্ত নেয় রেল।