এবার ধর্মঘটের পথ ধরতে চলেছেন চা–বাগানের স্থায়ী কর্মীরা। গত পাঁচ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি ইস্যু। তাই মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গের চা–বাগানগুলির স্থায়ী কর্মীরা ধর্মঘটে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আগামী ৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তারপরও যদি সমস্যা মেটানো না হয় তাহলে ৭ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবেন তাঁরা।
এই ধর্মঘটে কেমন প্রভাব পড়বে? জানা গিয়েছে, চা–বাগানের অস্থায়ী চা শ্রমিকদের সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত নেই। তবে স্টাফ ও সাব–স্টাফ কর্মীদের যৌথ মঞ্চের এই ঘোষণায় উৎপাদন ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, চা–পাতা কারখানায় প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে বিক্রয়যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এই স্টাফ ও সাব–স্টাফদের ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা ধর্মঘটে নামলে চা–পাতা তোলার কাজও পরোক্ষে ব্যাহত হবে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনও উদ্যোগ? চা শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সাপ্রে কমিটি চলতি সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে আসছে। তাই ধর্মঘট হোক চায় না রাজ্য সরকার। তৎপরতা শুরু করেছে শ্রমদপ্তর। ঠিক কী বলছেন শ্রমমন্ত্রী? এই বিষযে বেচারাম মান্না বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কানে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পোন্নয়নের সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। এখন ধর্মঘট ভুল বার্তা দেবে। আমরা ধর্মঘটের সমর্থকদের পাশাপাশি মালিকপক্ষকে অনুরোধ করব আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নিচে। প্রয়োজনে সরকারও অংশ নিতে পারে।’
চা–শ্রমিকদের সংগঠনের বক্তব্য কী? সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি ঝুলে আছে। তাই ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই। তবে সরকার ও মালিকপক্ষ যদি আলোচনার মাধ্যমে দাবি মিটিয়ে দিতে পারে, তাহলে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হবে। এখন মজুরির বিষয়ে অস্থায়ী প্রায় তিন লক্ষ শ্রমিকও ক্ষুব্ধ। তাই এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।