চা শ্রমিকদের মন জয় করতে ভোটের আগে শাসক- বিরোধী সকলেই প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এদিকে ভোট মিটতে চা শ্রমিকদের অনেকেই দেখছেন বঞ্চনার কোনও অবসান হয়নি। এমনকী এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানও এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। শনিবার ডুয়ার্সের অন্তত ৮ টি চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে মিটিং হয়। তাদের দাবি চা সুন্দরী প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। বহু চা শ্রমিক দিনের পর দিন ধরে সরকারি প্রতিশ্রুতিমতো রেশন পাচ্ছেন না। এব্যাপারে বার বার বলা হলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। জলপাইগুড়ির ভান্ডারপুর, জয়পুর, শিকারপুর, সরস্বতীপুর, নাগপুর, রায়পুর, ডেঙ্গুয়াঝাড় ও করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিকরা নানা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। এদিন করলাভ্যালি চা বাগানে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বৈঠকও হয়েছে।
এদিকে এই বঞ্চনা থেকে মুক্তি না মিললে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর দাবি এবার ভালো ভোটে এলাকা থেকে লিড পেয়েছে শাসকদল। তারপরেও কেন চা শ্রমিকরা এতটা বঞ্চিত থাকবেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান প্রধান হেমব্রমের দাবি, 'আটটা চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাঁরা রেশনের ৩৫ কেজি করে চালও পাচ্ছেন না। আমরা কি অন্যায় করেছি? চা সুন্দরী প্রকল্প থেকেও বঞ্চিত। এলাকায় বিপুল ভোটে লিড দিয়ে আসছি। আমাদের বিধায়ক, আমাদের সভাধিপতি। তাঁরা কোনও সময় বলছেন না যে সমস্যাগুলো মিটিয়ে দেব। জেলাশাসক, খাদ্য দফতরে চিঠি লিখব। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।' তবে খাদ্য দফতর জানিয়েছে, কারা রেশন পাচ্ছেন না তার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।