বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Tea Price: প্রতি কেজি চায়ের দাম কমে মাত্র ১৫ টাকা, উত্তরে হাহাকার, চা দিবসেও চোখের জল

Tea Price: প্রতি কেজি চায়ের দাম কমে মাত্র ১৫ টাকা, উত্তরে হাহাকার, চা দিবসেও চোখের জল

উত্তরের চা বলয়ে বিপর্যয়। প্রতীকী ছবি (ANI Photo) (Abhishek Saha)

ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছে, কাঁচা চা পাতার দাম আচমকাই পড়ে গিয়েছে। ১৫-১৮ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা বিক্রি হচ্ছে। বিগতদিনে এই পাতারই দাম থাকত ৩৫ টাকা কেজি। এবার একেবারে অর্ধেকেরও কম।

এককথায় একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। রবিবারই গিয়েছে চা দিবস। নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটাকে পালন করা হয়েছে। সপ্তাহভর নানা আলোচনা, নানা সেমিনার। কিন্তু চা দিবসের সেই আলোর নীচেই জমাট বাঁধা অন্ধকার। চা চাষিদের কার্যত দিশেহারা অবস্থা।বাস্তব পরিস্থিতিটা মারাত্মক।

জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভাবে চললে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে। একের পর এক বটলিফ ফ্যাক্টরি বন্ধের মুখে। মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে উত্তরের চা বলয়ে চা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা হাজার হাজার শ্রমিকের।

ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছে, কাঁচা চা পাতার দাম আচমকাই পড়ে গিয়েছে। ১৫-১৮ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা বিক্রি হচ্ছে। বিগতদিনে এই পাতারই দাম থাকত ৩৫ টাকা কেজি। এবার একেবারে অর্ধেকেরও কম। মূলত ক্য়াটারপিলার, লুপার গ্রিনফ্লাইয়ের হানায় একেবারে ছারখার হয়ে গিয়েছে চা বাগান। তার সঙ্গেই রয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা।

জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, সেকেন্ডে ফ্লাশের এই চা পাতা সাধারণত সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়। কিন্তু এবছর চায়ের পাতার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৫-১৮ টাকা প্রতি কেজি। উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২০ টাকা। আর চা পাতা বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না। সামনে বর্ষা আসছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

এদিকে বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলিতেও প্রচুর চা জমা হয়ে আছে। সেকারণে তারা আর নতুন করে চা পাতা নিতে চাইছেন না। সংগঠনের দাবি টি বোর্ডের শেষ বোর্ড মিটিংয়ে চা পাতার দাম নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য ক্ষুদ্র চা চাষ হয় এমন রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি বলে দাবি চা চাষিদের।

এদিকে উত্তরবঙ্গে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ ছোট চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত। উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ আসে এই বাগান থেকেই। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে একাধিক বাগান বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

, আর তার মধ্যেই

বন্ধ করুন