বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পূর্ব বর্ধমানে। তাঁর ছেলের ভূমিকা ঘিরে রহস্যর দানা বেঁধেছে। বন্ধ ঘরে মা আত্মঘাতী হয়েছেন, অথচ প্রতিবেশীদের কিছু না জানিয়েই মামারবাড়ি চলে গিয়েছে শিক্ষিকার ছেলে। এখানেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জাগছে যে, কেন ওই কিশোর এই ধরনের আচরণ করল? ঘটনার তদন্তে নেমেছে কালনা থানার পুলিশ।
বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার প্রফেসর কলোনিতে। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০)।। তবে কেন তাঁর ছেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে এলাকা ছাড়ল, সেটাও ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনন্দা একটি মাদ্রাসার শিক্ষিকা ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন শিক্ষিকা। তাঁর ছেলে সম্ভ্রম দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনা প্রসঙ্গে সম্ভ্রম জানায়, সে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায়, এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপরেই সুনন্দা রেগে গিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ছেলের অনেক ডাকাডাকির সত্বেও তিনি আর দরজা খোলেননি। সম্ভ্রম বলে, 'মায়ের ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কিও করেছিলাম কিন্তু মা দরজা খোলেননি। এমনকী, বুধবার সকালে দরজা ধাক্কা দিলে মার কোনও সাড়া পাইনি।'
এ ঘটনার পরই কালনা থেকে কলকাতায় মামার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সম্ভ্রম। তারপরে মামারবাড়ির লোকেদের নিয়ে কালনা থানায় ফিরে সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানায়। এরপরেই পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।