শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আর তা নিয়ে জোর চর্চাও আছে পথেঘাটে। যা বেশ অস্বস্তিকর। এই আবহে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রায়গঞ্জ থেকে। ইডি’র কেস ডায়রিতে রয়েছে এই এলাকারই এক শিক্ষকের নাম। তিনি নাকি কুন্তল ঘোষের মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য ভাইরাল হতেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাতে বেশ অবাক ওই শিক্ষকের সহকর্মীরাও। কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে এজেন্টদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাঁদের মধ্যে নাম রয়েছে গৌতমবাবুর।
ঠিক কী আছে ইডি’র চার্জশিটে? ইডির পেশ করা তালিকার ২৪ নম্বরে লেখা রয়েছে ‘গৌতম তান্তিয়া, উত্তর দিনাজপুর’। যেখানে গৌতম তান্তিয়াকে এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এমনই একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রায়গঞ্জ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী বিজেপি নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর হাইস্কুলের শিক্ষক তথা পশুপ্রেমী সংগঠনের সংগঠনের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া। তাঁর নামই নাকি উঠে এসেছে ইডি’র কেস ডায়রিতে। যদিও, গৌতমবাবুর দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। আর বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, কুন্তলের ডায়েরিতে নাম আছে পশুপ্রেমী শিক্ষক গৌতম তান্তিয়ার।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে ভাইরাল হওয়া তালিকা একেবারেই ভুয়ো বলে দাবি করলেন শিক্ষক–সমাজকর্মী গৌতম তান্তিয়া। তাঁর কাছে ইডির পক্ষ থেকে কোনও নোটিশ আসেনি বলে জানান তিনি। আর কুন্তল ঘোষকে তিনি নিজেও চেনেন না বলে জানান। তবে এই দুর্নীতির বিষয় নিয়ে যদি তাঁকে ইডি তলব করেন তবে তিনি ইডিকে সবরকম সাহায্য করবেন। ইডির পক্ষ থেকে অবশ্য এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এমন ঘটনায় প্রাণ ওষ্ঠাগত গৌতম তান্তিয়ার। যতক্ষণ না পর্যন্ত ইডি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে ততক্ষণ তাঁকে অপরাধী হিসাবেই দেখছেন সকলে।
ঠিক কী বক্তব্য শিক্ষকের? এই ঘটনা নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুরের এই শিক্ষক। তাই গৌতমবাবু বলেন,‘আমার সঙ্গে এখনও কোন চিঠি বা টেলিফোনে যোগাযোগ করেনি ইডি কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কারও সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই।’ অথচ গৌতম তান্তিয়ার নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় রায়গঞ্জ শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বহ মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইছেন। গৌতমবাবু একটি পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন থাকায় জেলায় বেশ পরিচিত নাম।