চুক্তির ভিত্তিতে পার্শ্ব শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিতর্কে জড়ালো রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে শিক্ষক সংগঠন থেকে শুরু করে চাকরি প্রার্থীরা। তাদের দাবি, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিতে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ না করে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বহু স্কুল স্থায়ী এবং পূর্ণ সময়ের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের অভাবে ধুঁকছে। এমনই অবস্থা উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে। সেই কারণেই সম্প্রতি রাজবংশী ভাষার প্রাথমিক স্কুলে চুক্তির ভিত্তিতে ৩৯৪ জন শিক্ষক এবং ৩৯০ জন অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পার্শ্বশিক্ষকদের মাসে ১০ হাজার টাকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের মাসে ৮ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তেরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে শিক্ষক সংগঠন থেকে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীরা।
শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী দাবি করেন, ‘চুক্তির ভিত্তিতে নয়, অবিলম্বে স্থায়ীভাবে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে। একই দাবি করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার অ্যাসোসিয়েশবের রাজ্য সভাপতি পিন্টু বারুই। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে হাজার হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী চাকরি না পেয়ে বসে রয়েছে। অথচ তাদের নিয়োগ না করে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগের চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার। এই চক্রান্ত অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। স্থায়ীভাবে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করলে বহু বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।’