সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে। গৃহ শিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও সামনে আসছে একের পর এক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। সেই আবহে রাজ্যের আরও একটি স্কুলে ছাত্রীদের খারাপভাবে স্পর্শ, মোবাইলে অশালীন মেসেজ এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখলেন অভিভাবকরা। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার পলসন্ডা গার্লস হাইস্কুলে। আরও অভিযোগ, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের মোবাইলে খারাপ ছবি পাঠাতেন।
আরও পড়ুন: বারুইপুরের কোচিং সেন্টারে খুনের হুমকি, নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার শিক্ষক
সোমবার স্কুলে গিয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সামিউল হোসেন। তিনি স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে ছাত্রীদের শরীরে খারাপভাবে বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করতেন। তার এই কর্মকান্ডের কথা এতদিন কাউকে বলতে পারেনি ছাত্রীরা। তারা মুখ বুজে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু, সম্প্রতি একের ঘটনার পরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন ছাত্রীরা।
এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ের মোবাইলে ওই শিক্ষক অশালীন মেসেজ পাঠাতেন। এমনকী খারাপ ছবিও পাঠাতেন শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে গায়ে হাতও দিতেন আর বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন। ওই অভিভাবক প্রথমে তার মেয়েই এরকম নির্যাতনের শিকার। পরে তিনি জানতে পারেন, আরও অনেকের সঙ্গে এরকম করেছেন ওই শিক্ষক।
অভিভাবকদের দাবি, এর আগেও সামিউলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। তখন প্রধানশিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা অভিযোগ জানিয়েছিল। ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় সামিউলকে সতর্ক করেছিলেন। তার পরেও একই কাণ্ড করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক অবশ্য সামিউলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেননি। তিনি আশ্বাস দেন, সামিউলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তারা কোনও অভিযোগ পাননি । তবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।