শিক্ষক বদলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছিল। তারইমধ্যে শিক্ষক বদলি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্কুলশিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব এবং বয়সের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম পাঁচ বছর কর্মরত কোনও শিক্ষক বদলির আবেদন করার সাতদিনের মধ্যে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে বয়স এবং বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্বের ভিত্তিতে শিক্ষকদের নম্বর দেওয়া হবে। বদলির জন্য আবেদনকারী কোনও শিক্ষকের বয়স যদি ৪০-র মধ্যে হয়, তাহলে তিনি এক নম্বর পাবেন। ৪১ থেকে ৫০ বছরের আবেদনকারী শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে দু'নম্বর। ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষকরা তিন নম্বর পাবেন। একইভাবে যে শিক্ষকের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব যতটা হবে, সেই ভিত্তিতে তাঁর বদলির আবেদনে নম্বর বরাদ্দ করা হবে।
এমনিতে শিক্ষকদের বদলির থেকে গত বছর থেকে উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পোর্টালের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। যদিও সেই প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে। বিশেষত শিক্ষকদের একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়, স্কুলের তরফে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি দিতে টালবাহানা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তো এনওসি দেওয়া হচ্ছে না। যদিও বিভিন্ন স্কুলের দাবি, কয়েকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক আছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যদি অন্যত্র বদলি হয়ে যান, তখন স্কুলে কীভাবে পড়াশোনা চলবে? সেই যুক্তি ও পালটা যুক্তির মধ্যে রাজ্যের সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের বদলি
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নিয়মের সংশোধন করেছে রাজ্য। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে শিক্ষকদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ৬০ শতাংশ বা তার বেশি, তাঁরা বদলির ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। আগে যে মাপকাঠি ছিল ৪০ শতাংশ।
বুধবার স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে বয়স এবং বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্বের ভিত্তিতে শিক্ষকদের নম্বর দেওয়া হবে। বদলির জন্য আবেদনকারী কোনও শিক্ষকের বয়স যদি ৪০-র মধ্যে হয়, তাহলে তিনি এক নম্বর পাবেন। ৪১ থেকে ৫০ বছরের আবেদনকারী শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে দু'নম্বর। ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষকরা তিন নম্বর পাবেন। একইভাবে যে শিক্ষকের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব যতটা হবে, সেই ভিত্তিতে তাঁর বদলির আবেদনে নম্বর বরাদ্দ করা হবে।
এমনিতে শিক্ষকদের বদলির থেকে গত বছর থেকে উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পোর্টালের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। যদিও সেই প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে। বিশেষত শিক্ষকদের একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়, স্কুলের তরফে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি দিতে টালবাহানা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তো এনওসি দেওয়া হচ্ছে না। যদিও বিভিন্ন স্কুলের দাবি, কয়েকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক আছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যদি অন্যত্র বদলি হয়ে যান, তখন স্কুলে কীভাবে পড়াশোনা চলবে? সেই যুক্তি ও পালটা যুক্তির মধ্যে রাজ্যের সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের বদলি
বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নিয়মের সংশোধন করেছে রাজ্য। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে শিক্ষকদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ৬০ শতাংশ বা তার বেশি, তাঁরা বদলির ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। আগে যে মাপকাঠি ছিল ৪০ শতাংশ।|#+|
স্বাস্থ্যগত কারণে বদলি
রাজ্যের সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে বদলির আবেদন করলে চিকিৎসকেরর প্রেসক্রিপশন লাগবে। শিক্ষক বা তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানের থ্যালাসেমিয়া, হৃদরোগের মতো অসুস্থতা থাকে, তাহলে বদলির ক্ষেত্রে তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন।