গত ১৬ নভেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে স্কুল কলেজের পঠন-পাঠন। আর স্কুল খোলা মাত্রই রাজ্য সরকার ছাঁটাই করতে শুরু করেছে এনসিকিউএফ বা বৃত্তিমূল শিক্ষকদের। এমনই অভিযোগ তুলে অবিলম্বে কাজে পুনর্বহালের দাবিতে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অর্ধনগ্ন হয়ে বিক্ষোভ করলেন বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা টোলপ্লাজার কাছে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দেয়।
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁরা ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করলেও রাজ্য সরকার তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। রাজ্যে প্রায় ২০০০ জন এনএসকিউএফ শিক্ষক এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এজেন্সি দিয়ে তাঁদের নিয়োগ করানো হয়েছিল। তাঁদের আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসেবে তাঁদের নিয়োগ করা হলেও তাঁরা অনলাইনে যাবতীয় কাজ করে থাকেন। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, বাংলা শিক্ষা ই-পোর্টালের কাজ থেকে শুরু করে পেনশনের কাজ তাঁরাই করে থাকেন। তাছাড়া লকডাউন চলাকালীন তাঁরা নিয়মিত পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস করিয়ে গিয়েছেন। অথচ স্কুল খোলার পর আচমকাই তাঁদের ছাঁটাই করতে শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি ,এখনও পর্যন্ত ৩২০ জন বৃত্তিমূলক শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই অবস্থায় পুনর্নিয়োগের দাবি তুলেছেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি ৬০ বছর পর্যন্ত তাঁদের কাজের মেয়াদ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে 'নোংরামি' বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন,' কর্মীরা যা নোংরামি করছেন, তাতে তাঁদের জন্য কী করা সম্ভব হবে, তা বলা যাচ্ছে না। ' মন্ত্রীর দাবি, 'এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই। কারণ এই সমস্ত শিক্ষকদের এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।'