স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল আইআইটি খড়গপুরে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের একাংশ। অভিযোগ, গত ৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে অভূতপূর্বভাবে স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। তার ফলে আইআইটি খড়গপুরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে আইআইটি খড়গপুর শিক্ষক সমিতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আর এনিয়ে শিক্ষকেরা মূলত কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অধিকর্তা ভিকে তেওয়ারিকে। উল্লেখ্য, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে একজন নতুন পরিচালক পাবে আইআইটি খড়গপুর। তার আগেই এই চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘তুঘলকি শাসন চালাচ্ছেন’ IIT খড়গপুরের ডিরেক্টরকে বহিষ্কারের দাবি জানালেন হিরণ
জানা গিয়েছে, শিক্ষক সমিতি আইআইটি খড়গপুরে পরবর্তী পরিচালক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ কাউকে বেছে নেওয়ার জন্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছে। চিঠিতে শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, যে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ব্যাপকভাবে স্বজনপোষণ চলছে। এ বিষয়ে বর্তমান সহ অধিকর্তা উদাহরণকে সামনে রেখে তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি একজন ব্যক্তির উত্থান দেখে। একই ব্যক্তি একইসঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এক অধ্যাপক বিভাগীয় প্রধান, বোর্ড অফ গভর্নরসের সদস্য, ডিন, এসআরআইসি এবং প্রতিষ্ঠানের সহ অধিকর্তা।’ কীভাবে এরকমটা হচ্ছে তা নিয়ে এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান অধিকতর আমলেই পক্ষপাতিত্ব যে প্রসারিত হচ্ছে তা ওই অধ্যাপকের উত্থান দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এটি আইআইটি খড়গপুরের চেতনার পরিপন্থী। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
আরও অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিহিংসাপূর্ণ মনোভাব দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই প্রতিহিংসাপূর্ণ মনোভাবের কারণে একাধিক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া অনেক তরুণ এবং মেধাবী প্রার্থী এইসবের কারণে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে এবং যোগ দিতে ইতস্তত বোধ করেছেন। অনেক তরুণ শিক্ষককে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি পাকা করা হচ্ছে না। এমনকী এলাকাবাসীর সঙ্গেও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের গত কয়েক বছরের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলেই অভিযোগ তোলা হয়েছে চিঠিতে।
যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য যোগ্য সদস্য নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল সবরকমের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রয়োগের কোনও জায়গা নেই। আসলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য এই চিঠি বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।