বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Teachers Transfer: শিক্ষকদের গ্রামবাংলায় বদলি আবশ্যিক করছে রাজ্য সরকার, বিচারপতির মন্তব্যের জের

Teachers Transfer: শিক্ষকদের গ্রামবাংলায় বদলি আবশ্যিক করছে রাজ্য সরকার, বিচারপতির মন্তব্যের জের

শিক্ষকদের গ্রামে বদলি আবশ্যিক করছে রাজ্য সরকার। (ছবি, সৌজন্যে সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

সেখানে দেখা গিয়েছে, ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে ৩০ জনের নীচে পড়ুয়ার সংখ্যা আছে। তখন আদালত পরামর্শ দিয়েছিল, ওই স্কুলগুলি বন্ধ করার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। আর প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলি করার জন্য আদালতের নির্দেশেই নয়া রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং সার্কেল, ব্লক, মহকুমা এবং আন্তঃজেলা বদলি হবে।

শহরের যেসব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম সেখানের শিক্ষকদের গ্রামে বদলি আবশ্যিক করছে রাজ্য সরকার। উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে ‘‌সাধারণ বদলি’‌ বা তার আগে ‘‌বিশেষ বদলি’‌র মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকা ছেড়ে শহরের স্কুলগুলিতে আসতে শুরু করেছিলেন শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে তাঁদের আবার গ্রামমুখী করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে শহরের আশপাশের পঞ্চায়েত এলাকার স্কুলেই বদলি দেওয়ার চেষ্টা হবে। এখন আপাতত উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলির জন্য এই নিয়ম আনা হলেও পরবর্তীকালে প্রাথমিকের এটাই কার্যকর করার ইঙ্গিত দিয়েছে শিক্ষা দফতর বলে সূত্রের খবর।

কলকাতা হাইকোর্টের কেমন পর্যবেক্ষণ?‌ সম্প্রতি কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির শিক্ষক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে উদ্বৃত্ত শিক্ষকদের গ্রামে পাঠানোর কথা বলেন। স্কুল শিক্ষা দফতরের একটি তালিকা আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে ৩০ জনের নীচে পড়ুয়ার সংখ্যা আছে। তখন আদালত পরামর্শ দিয়েছিল, ওই স্কুলগুলি বন্ধ করার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। আর প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের বদলি করার জন্য আদালতের নির্দেশেই নয়া রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং সার্কেল, ব্লক, মহকুমা এবং আন্তঃজেলা বদলি হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, কলকাতায় অতিরিক্ত শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর সংখ্যাটা প্রায় ১৬০০। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘‌কলকাতাতেও কিছু স্কুলে শিক্ষকের অভাব আছে। ছাত্রশূন্য স্কুলে শিক্ষকরাও থাকতে চান না। আবার কোনও স্কুলে কম পড়ুয়া থাকলেও প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য অন্তত একজন করে শিক্ষক তো রাখতেই হবে। তাই বদলির সিদ্ধান্ত।’‌

আরও শিক্ষক ঘাটতি হচ্ছে কেন?‌ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক রায় দিয়েছে। তার ফলে বহু শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। ফলে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৮ জন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় শিক্ষক ঘাটতি হয়েছে। হাওড়া জেলায় নয়া বদলি প্রক্রিয়া শুরুর প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু হলে আবার শিক্ষকদের এই হিসেব পাল্টে যাবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন