শিক্ষিকা শান্ত মণ্ডলের বদলিতে বেনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় আজ রায়দান করবে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় তখন এই শিক্ষিকার বদলিতে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন এই শিক্ষিকা।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি পাঁচ বছরে তিনবার বদলি হয়েছিলেন এবং প্রত্যেকবার নিজের পছন্দমত জায়গাতেই তিনি বদলি হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজেও যাননি। যার ফলে যার ফলে প্রধান শিক্ষিকার সইয়ের অভাবে গত চার মাস ধরে বেতন পাননি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শান্তা। এরপর শিলিগুড়ির অমিয়পাল স্মৃতি বিদ্যালয়ে তার বদলি হয়। তবে সেখানে কাজে যোগ না দিয়ে ফের তিনি বদলির জন্য আবেদন করেন। শিলিগুড়ির শ্রী গুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে তিনি কাজে যোগ দেন। এরপরেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসূন সুন্দর তরফদার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি চলে।
সেই মামলায় শিক্ষিকার বদলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। এরপরেই গত শনিবার ওই শিক্ষিকাকে বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে যোগদানের নির্দেশন বিচারপতি। কিন্তু, বিচারপতির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই স্কুলে কাজে যোগদান করেননি শান্তা। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সিঙ্গেল বেঞ্চর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রবিকিষান কাপুর ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন ওই শিক্ষিকা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার চলে মামলার শুনানি। আজ এই মামলার রায়দান করবে ডিভিশন বেঞ্চ।