রাজ্যে সংক্রমণ কম থাকায় ফের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ক্লাস শুরু করার আবেদন জানাল শিক্ষকদের একাংশ। গতকাল রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা ৩০ জুলাই পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে স্কুল-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই রয়েছে।
শিক্ষকদের একাংশের মতে, রাজ্যে সব জেলায় করোনা পরিস্থিতি একরকম নয়। যে সব জেলায় সংক্রমণের মাত্রা কম, সেখানে স্কুল খোলার কথা বলছেন তাঁরা। রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম, সেখানে স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার জানান, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তাঁরা স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও স্কুল শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অন্তত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলা হোক। প্রতিদিন নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়া স্কুলে আসবে। করোনা বিধি মেনেই স্কুল চলবে। তাতে অন্তত দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস শুরু করা যাবে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর মতে, ২০২০ সালের প্রথম দিকে যে পড়ুয়ারা ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল, সে এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। ২০২১ সালে সেই পড়ুয়াই অষ্টম শ্রেণিতে উঠে যাবে। কিন্তু অনলাইন ক্লাস সব জায়গায় ঠিকমতো হচ্ছে না। পাঠ্যক্রমে অনেক কিছু না জেনেই অনেক পড়ুয়া ক্লাসে উঠে যাচ্ছেন। তাই শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি শুধু নয়, ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারাও স্কুলে আসুক।
শুধু রাজ্য সরকারের আওতাধীন স্কুলই নয়, অনেক বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষও রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ক্লাস খোলার পক্ষে রায় দিয়েছেন। অনেক বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষের দাবি, অনেক শিক্ষকরাই এখন ক্লাসে ফিরতে চাইছেন। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক স্কুলেই এখন অনলাইন ক্লাস চলছে। কিন্তু সেই অনলাইন ক্লাস কতটা পড়ুয়াদের কাজে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় তো অনলাইন ক্লাসেরও ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে অনেক পড়ুয়ারাই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।