প্রেমের ফাঁদ পেতে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ দাদার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার বলগোনা গ্রামের। নির্যাতিতার মামার অভিযোগের ভিত্তিতে সাহিরুদ্দিন চৌধুরী নামে ১৯ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
১৭ বছর বয়সী কিশোরী জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের মাধ্যমে কয়েক সপ্তাহ আগে দাদার বন্ধ সাহিরুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেড়াতে যাওয়ার নাম করে তাকে ডাকে সাহিরুদ্দিন। সঙ্গে ছিল সাহিরুদ্দিনের বন্ধু আরিফ। এর পর টোটোয় করে তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তারা। সেখানে ২ জনে মিলে গণধর্ষণ করে কিশোরীকে।
অত্যাচারের জেরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালায় ২ অভিযুক্ত। এর পর কোনওক্রমে উঠে ভাতার বাজারের কাছে এসে স্থানীয়দের ঘটনার কথা জানায় সে।
খবর পেয়ে সেখানে আসেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। এর পর সাহিরুদ্ধিন ও অমিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই বলগোনা থেকে সহিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত পলাকত।
শুক্রবার কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা হয়। তাঁর বয়ান ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাহিরুদ্দিনকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তারও শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, অভিযোগ স্বীকার করেছে সাহিরুদ্দিন।