ত্রিকোণ প্রেমের জেরে মৃত্যু হল কিশোরের। প্রেমিকার বাড়ির কাছে একটি হোগলা বন থেকে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রিষড়ায়। শনিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়ার বারুজীবী নতুনপল্লিতে। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
মৃতের পরিবারের তরফে উত্তরপাড়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার বাবা, মা, প্রেমিক-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম অশোক প্রসাদ (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে অভিযুক্ত প্রেমিকার বাড়ির পাশে একটি হোগলা বোনের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই কিশোরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরের গলায় গামছা ফাঁস লাগানো ছিল। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরপরই উত্তেজিত জনতা ওই কিশোরীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়।
মৃত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অশোকের। সম্প্রতি তাকে ছেড়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এরপরই অশোক ও তার প্রেমিকার সম্পর্কে চিড় ধরে। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর তার প্রেমিকার নতুন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হয়। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয় অশোক। তারপরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে। শনিবার সকালে তার প্রেমিকার বাড়ির পাশের হোগলা বনে গলায় গামছা ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মৃত কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই অশোককে খুনের হুমকি দিত কিশোরীর নতুন প্রেমিক অর্জুন। কিশোরীর কিছু জিনিস অশোকের কাছে ছিল। সেই জিনিস ফেরত দেওয়ার জন্য অর্জুন হুমকি দিত বলে অভিযোগ। এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর অশোকের মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সেই মোবাইলটি প্রেমিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়।