রবিবার ছিল টেট পরীক্ষা। আগাম সব ব্য়বস্থাই করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে টেট পরীক্ষা। স্বভাবতই অনেক আশা বুকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে রওনা হয়েছিলেন মহেশতলার বাসিন্দা পুনম কুমারী। কিন্তু সামান্য দেরিতে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে এসেছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না পুনম। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ভেঙে গেল এক লহমায়। যাবতীয় স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
এদিন বাগবাজার মাল্টিপারপাস স্কুলে তার সিট পড়েছিল। সেই মতো তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। তবুও পরীক্ষা দিয়ে একটি চাকরি পেয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সব আশায় জল পড়ে গেল।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বেলা ১১টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনর কথা পরীক্ষার্থীর। এদিকে পরীক্ষার্থীদের অনেকেই অভিযোগ তুলছিলেন বাসে বাদুর ঝোলা ভিড়। অনেকের আবার পরীক্ষাকেন্দ্রের ঠিকানা খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। তার জেরে কেন্দ্রে আসতে দেরি হয়ে যায়।
এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এদিন ১১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছনর কথা ছিল। এদিকে পুনমের দাবি পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে এদিন সামান্য দেরি হয়ে গিয়েছিল। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য নানাভাবে কাতর আবেদন জানান তিনি।
কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি তাঁর আবেদনে। তিনি জানিয়েছেন পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পেতে সমস্য়া হচ্ছিল। ট্রেনও মিস হয়ে যায়। শরীরও অসুস্থ। অ্য়াপ নির্ভর বাইকে চেপে তিনি আসার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর দাবি ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষাকেন্দ্রের গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আসেন ১১টা ৪৭ মিনিটে। কিন্তু তারপরেও পরীক্ষা দিতে পারলেন না তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন মারণ রোগে আক্রান্ত পুনম। দীর্ঘক্ষণ তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ঠায় বসেছিলেন তিনি।