একের পর এক কোপ। শাসকদলের নেতাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরিও খোয়া যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। হুগলি জেলার একাধিক তৃণমূল নেতার ছেলে, মেয়ের চাকরি গিয়েছে। এমনকী ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিরও চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। আর এর জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এনিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা।
ইনছুরার বাসিন্দা রাহুল দেব ঘোষ। তিনি হুগলির বলাগড়ের ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি। জিরাটের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। সূত্রের খবর চাকরি গিয়েছে তাঁরও। তবে এনিয়ে সংবাদ মাধ্য়মের কাছে তিনি জানিয়েছেন, এনিয়ে কোনও চিঠি পাইনি। তাই কোনও উত্তর দিতে পারব না।
আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া। তাঁর দুই মেয়ে শিবানী খাঁড়া ও সীমা খাঁড়া পরমানিক। সূত্রের খবর, চাকরি গিয়েছে তৃণমূল নেতার ওই দুই মেয়ের। কলকাতা হাইকোর্ট যে ২৬৯জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে ওই দুজনের নামও রয়েছে। একেবারে শ্বশুরবাড়ির এলাকাতেই চাকরি করছিলেন তাঁরা।
কার্যত আকাশ থেকে পড়ছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর সাফ কথা, হাতে কোনও কাগজ পাইনি। তাই এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। এদিকে ওই শিক্ষিকারা যে স্কুলে কর্মরত ছিলেন সেই স্কুলের সহ শিক্ষকরাও গোটা ঘটনায় হতবাক।
হাওড়ার শ্যামপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ মণ্ডলের ছেলে তনুময়ের চাকরিটিও গিয়েছে। তবে রামপ্রসাদ মণ্ডলের কানে খবরটি গিয়েছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি পেয়েছিল। ছেলে কোনও অসুদপায় অবলম্বন অবলম্বন করেনি। কেন এটা হল বুঝতে পারছি না।