স্থানীয়দের বাধায় বুধবার নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর খুলেও বন্ধ করে দিতে হল ঠাকুরনগরের ফুলের হাট। এদিন সকালে ফুলের হাটে বেচাকেনা শুরু হলেও বহিরাগতদের থেকে হাটে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার কথা জানান স্থানীয় মানুষ। এর পর হাটে বেচাকেনা বন্ধ করে দেন আয়োজকরা।
রাজ্যের অন্যতম বড় ফুলের হাট বসে ঠাকুরনগরে। প্রতিদিন সারারাত ফুল কেনাবেচা চলে এই হাটে। ভোর হওয়ার আগে লোকাল ট্রেনে করে সেই ফুল ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে। ট্রেন বন্ধ থাকায় ফুল গাড়িতে করে আসেপাশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন খুচরো বিক্রেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হল না।
মঙ্গলবার নবান্নে বসে ফুল ব্যাবসার ওপর থেকে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, ফুল বিক্রি করা যাবে, তবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে। এর পরই মাঠে গিয়ে ফুল সংগ্রহ শুরু করেন চাষিরা। কিন্তু ঠাকুরের পায়ে আর পৌঁছল না সেই ফুল। বুধবার সকালে ঠাকুরনগর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপ, গাঁদা চিবাচ্ছে বেওয়ারিশ কিছু গরু।