কিছুদিন আগেই কালো রঙের গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে এসেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরার মুখে বসার জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই তিনি চলে আসেন এসএসকেএমে।তবে কেন তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তবে যাবতীয় বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও সেই লাল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনুব্রত হাসপাতালে থাকলেও তাঁর সঙ্গীরা এই লালবাতি লাগানো গাড়িতে চেপেই হাসপাতালে আসছেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও ওই গাড়িতে চেপেই এসএসকেএমে আসছেন বলে খবর। এখানেই প্রশ্ন কীসের জোরে এখনও অনুব্রতর সঙ্গীরা লালবাতি চেপে ঘুরছেন? কেন পুলিশ তাদের আটকাচ্ছে না?
এদিকে অনুব্রত তৃণমূলের জেলা সভাপতি। পাশাপাশি তিনি স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ও পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম লিমিটেডের সভাপতি। সেই পদে থেকে তিনি আদৌ লাল বাতি লাগাতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সহযোগীরা কীভাবে সেই গাড়ি চাপছেন সেই প্রশ্নটাও থাকছে। তবে এই লালবাতি গাড়়ি ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বিজেপিও গোটা ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে।
এদিকে দেখা যাচ্ছে এই কালো রঙের গাড়িটি একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের। সেই ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে লালবাতি কেন থাকল সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে তৃণমূলের পালটা দাবি, বিজেপির ছোট মাঝারি নেতাদের জন্য যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয় তখন তা কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন ওঠে।