তীব্র গতিতে ওড়িশার ধামরার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তবে এ যাত্রায় কলকাতা বেঁচে গেলেও ইয়াসের রুদ্রমূর্তি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা প্রত্যক্ষ করেছে দিঘা। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ বালেশ্বরের দক্ষিণে ধামরার কাছে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ে ইয়াস। কিন্তু দিঘায় তাঁর আগে থেকেই ফুলে ফেঁপে ওঠে জলস্তর। ভরা কোটালের জেরে জলস্তর বেড়ে যায় আরও। জলের তোড়ে ভেসে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝোড়ো হাওয়ায় তছনছ হয়ে গিয়েছে তীরবর্তী এলাকাগুলো।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মপ্রধান অক্ষরেখার সাগর কিংবা মহাসাগরে এমনটা দেখা যায়। তার প্রধান কারণ বাতাসে বায়ুর চাপ কম থাকায়, হাওয়ার দাপট ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকে।
১৯৭০ সাল থেকে ভারতের এই প্রান্ত ১৭০ টি ঝড় দেখেছে। আবার ২০১৭ পর্যন্ত ভারতের উপকূলীয় এলাকাগুলি গড়ে প্রতি বছর একটি করে সাইক্লোনের মোকাবিলা করেছে। তার মধ্যে বঙ্গোপসাগরেই সবচেয়ে বেশি ও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। কিন্তু আরব সাগরে তুলনায় অনেক কম ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেও ঘূর্ণিঝড় তৈরি ও শক্তিবৃদ্ধিতে বঙ্গোপসাগরকে ‘অ্যাক্টিভ বেসিন’ হিসেবে বর্ণনা করছেন ভূতত্ত্ববিদরা। যেমন গত ৪ বছরে ১২ টি সাইক্লোন দেখেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকাগুলি। তবে আগের চেয়ে উত্তর ভারত মহাসাগরেও সাইক্লোন তৈরির হার বেড়েছে।