রাষ্ট্রপতি শাসন চাই না, তবে রাজ্যকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করুক কেন্দ্র। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এক দলীয় সভায় এই দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে রাজ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ হিন্দুকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। তার পরেও ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন - আবার কি শপথ জটিলতা? স্পিকারকে দায়িত্ব দিতে অনুরোধ করে রাজ্যপালকে চিঠি রাজ্যের
পড়তে থাকুন - ২১ জুলাই 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করবে BJP, ২২ জুলাই CESC অভিযান
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করতে হবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা SOP তৈরি করতে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করাতে হবে। আমরা রাষ্ট্রপতি শাসন চাই না। ভোটে জিতে ক্ষমতায় দখল করব। কেউ মন্ত্রী - মুখ্যমন্ত্রী হতে চায় না। আমি স্রোতের বিরুদ্ধে লড়ি। ৫টা দফতর ছেড়ে দিয়ে পিসি ভাইপো কোম্পানির থেকে বাংলাকে বাঁচানোর জন্য বিজেপি করি। আমার কাছ থেকে কেউ কাড়েনি। আমি ফেলে দিয়ে উলটো দিকে হাঁটি। আমার জেলা যা দিয়েছে আমাকে আগামী দিনে বাংলা তা দেবে।’
এর পরই পশ্চিমবঙ্গকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণার দাবি তুলে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি বলে এসেছি দিল্লিতে। ভোট ছাড়া বিজেপি নবান্ন চায় না পিছনের দরজা দিয়ে, রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা দিয়ে। রাষ্ট্রপতি শাসন চাই না। আমি তো চাই না। আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গকে উপদ্রুত ঘোষণা করা হোক। মণিপুরকে যদি সোজা করে দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদীজি, অমিত শাহজি, কেন বাংলা হবে না?’
আরও পড়ুন - তৃণমূলকে ভোট না দিলে কেটে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে নতুন রণকৌশল নিয়েছে তৃণমূল। ৮৫ শতাংশ বুথে ইসসামিক মৌলবাদীদের প্রিসাইডিং আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করেছে তারা। তার সঙ্গে হিন্দুদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৫০ লক্ষ ও ৪ বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রায় ২ লক্ষ হিন্দুকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা উপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি এরকম ১০০ জনকে নিয়ে আমি ১৬ জুলাই রাজভবনে যাব। এছাড়া বিরোধী দলনেতার একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। সেখানে যারা লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি তারা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তাদের নাম নিয়ে আমি রাষ্ট্রপতির কাছে সুবিচার চাইব।