সম্প্রতি আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপরেই এই সমস্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরপরেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরে পথশ্রী এবং রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের নজরদারি নিয়ে সতর্ক করে স্বচ্ছতার উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। এই রাস্তাগুলি তৈরি করবে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কাজে স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, কে কোথায় টেন্ডার পাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।’ সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এ নিয়ে বারবার দিল্লির নজরে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রকল্পগুলির স্বচ্ছতা যাচাই করার জন্য বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে যাতে সরকারকে কোনওভাবেই বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় তার জন্য সিঙ্গুরের রতনপুরের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রতনপুরে ইট গেঁথে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২২টি জেলায় এই প্রকল্পে তৈরি হবে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। বর্ষাকালের আগে কাজগুলি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে কাজ করা যায় না তাই তার আগেই কাজ শেষ করতে হবে।’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে পৌনে চার কোটি টাকা খরচ হবে তা সবই রাজ্যের। একটিও কেন্দ্রের টাকা নয়। প্রসঙ্গত, মে মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামীন রাস্তা তৈরির সময়সীমা যেভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাতে শাসক দলের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ভাবনা চিন্তাও থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া পঞ্চায়েতের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় দুর্নীতি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যাদের ১০০ দিনের কাজে নাম রয়েছে তাদের এই প্রকল্পের জন্য কাজে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, ‘যাদের জব কার্ড রয়েছে তাদের দিয়ে কাজ করানো হবে। নতুন করে তালিকা তৈরি করা হলে আমরা বাতিল করে দেব।’ এর পাশাপাশি অন্যান্য দফতরের কাজেও যাদের জব কার্ড আছে তাদের নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup