ঝাঁ চকচকে চারতলা বিল্ডিং। গালভরা নাম ওয়েস্টবেঙ্গল চাইল্ড অ্য়ান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। হাওড়ার সালকিয়ার শ্রীরাম ঢ্যাং রোডের এই বিল্ডিংকে ঘিরে এখন নানা চর্চা। শিশুদের হোমের আড়ালে এখানে নাকি চলত নানা অবৈধ কারবার। এবার এনিয়েই নতুন করে ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তদন্তে নেমে হোমের গঠন দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন পুলিশ কর্তারাও। চারতলার এই বিল্ডিংয়ের একতলায় শিশু হোমের দফতর। তার উপরের তলায় শিশুদের থাকার মতো জায়গা। এটি হোমেরই অংশ। এদিকে এরপরের তলা থেকে আসল গল্প শুরু। উপরের তলাগুলিতে একেবারে সুন্দর করে সাজানো ড্রইংরুম ও বেডরুম রয়েছে। যে কোনও বিলাসবহুল হোটেলকেও হার মানাবে এর অন্দরসজ্জা। আর এখানই উঠছে প্রশ্ন। এই সমস্ত ঘরগুলি আদপে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত এই হোমে লোকজন আসত। কিন্তু শিশুদের হোমে কেন গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা হত সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির প্রথম দুটি তলা দেখে বোঝার উপায় নেই এর উপরের তলাগুলিতে কী রয়েছে। তিনতলায় গেলে দেখা যাবে সুসজ্জিত ড্রইংরুম, ডাইনিং রুম ও বেড রুম। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এটাও নয় বোঝা যেতে পারে বসবাস করার জন্য বানানো হয়েছিল। কিন্তু তার উপরের তলায় যে ব্যাঙ্কোয়েট হলটি রয়েছে সেটি কীসের জন্য? অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো রয়েছে এই ব্যাঙ্কোয়েট হল।