পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে হাওড়া জেলার প্রধান পশু হাসপাতাল ধুঁকছে। এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সুবিধা থাকলেও কর্মীর অভাবে কার্যত তা বন্ধ রয়েছে। ফলে সে ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চিকিৎসার জন্য পশু নিয়ে যেতে হচ্ছে দূর-দূরান্তে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই হাসপাতলে শুধুমাত্র একজন ডাক্তার এবং একজন কম্পাউন্ডার রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতলে কোনও গ্রুপ-ডি কর্মী বা অন্যান্য কর্মী নেই। হাসপাতলে এক্স-রে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বসানো হলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে এখন সেসব চালু হয়নি। এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি পশু চিকিৎসার জন্য লোকজন নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া আর অন্য কিছু চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
হাসপাতালের ভেটেনারি অফিসার নিতিশ কুমার মোদক কার্যত হাসপাতালের দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান, পরিকাঠামো উন্নয়ন জন্য বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এখন এই অবস্থার মধ্যেও যতটা সম্ভব পশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে সরকার থেকে কোনও ওষুধ দেওয়া হয়না বলেও অভিযোগ। ইউএসজির অন্তত চারজন দরকার। কিন্তু তা না থাকায় হাসপাতালে ইউএসজি সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
কিছুদিন আগে হাসপাতালের অবস্থা ফেরানোর জন্য একটি সংস্থা মিছিল করে। তাদের অভিযোগ, আস্ত একটি হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও যদি পরিষেবা না পাওয়া যায় তাহলে পশু চিকিৎসার জন্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপ করার কোনও মানেই হয় না।