মিড ডে মিলে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। এবার মিড ডে মিলের কাজ না করেই রাঁধুনি ঘরে বসে বেতন পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা নেতাজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক রাঁধুনি রান্না না করেই মাসের পর মাস ঘরে বসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগে সরব হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতে বসে রয়েছেন জ্যোৎস্না দাস নামে ওই রাঁধুনি। তারপরেও প্রতি মাসে মাসে তিনি বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা না হয়নি। স্কুলের এক শিক্ষিক জানান, স্কুলে ১০০ জন শিশু হয়ে যাওয়ার পর একজনকে আরও রাঁধুনি রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যাটা কমে যাওয়ায় তাকে রান্নার কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে তাকে বসিয়ে দেওয়ার নথিপত্র রয়েছে কিনা তা প্রধান শিক্ষকই বলতে পারবেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই মহিলা বছর আটেক আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মাধ্যমে কাজে ঢুকেছিলেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই মহিলা কাজে না আসার জন্য তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরে কীভাবে তার অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকছে? তার উত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এবং বিডিওর যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে ওই স্কুলের রাঁধুনি হিসেবে কাজ করেন নবলক্ষ্মী মণ্ডল নামে এক মহিলা। তিনি বলেন, ‘২০০৩ সাল থেকে আমি স্কুলের রাঁধুনির কাজ করছি। স্কুলে ছাত্র সংখ্যা যখন বেড়ে গিয়েছিল তখন জোৎস্নাকে রাঁধুনি হিসেবে রাখা হয়েছিল। তবে এখন ছাত্র কমে যাওয়ায় তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে কিনা সে বিষয়টি আমার জানা নেই।’