গরমকালে পাতিলেবুর চাহিদা এমনিতেই বেশি । রোদে তেতেপুড়ে ঘুরে আসার পর নুন, চিনি, লেবু দিয়ে একটু সরবৎ, যেন প্রাণটা জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু করোনাকালে আর শুধু তেতেপুড়ে আসার পর নয়, ঘরে থেকেও সকাল বিকাল লেবু খাচ্ছেন আমজনতা। কিন্তু সেই লেবুর দামই এবার চড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে একটা লেবুর দাম গিয়েছে ঠেকেছে ৪ টাকা থেকে ৮টাকা। কিন্তু কেন এমন হল? বাজার থেকে একটু সস্তায় লেবু কিনে খাবেন আমজনতা তারও কী আর উপায় নেই? আসলে সূত্রের খবর, লেবুর এই চড়া দামের পেছনেও রয়েছে সেই ফড়েদের হাত।
চাষিদের একাংশের দাবি, বাজারে লেবুর এত দাম হলেও চাষিরা সেই দাম পাচ্ছেন না। ৭০ থেকে ৮০ পয়সা দামে তাঁরা লেবু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। লাভের গুড় খেয়ে ফেলছে ফড়েরা। লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে আচমকা যোগানের একটু ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি একটা কৃত্রিম অভাব তৈরি করে বাজারে লেবুর দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুঠ করার চেষ্টা করছে ফড়েরা। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেগঙ্গা, বেড়াচাঁপা, শিমুলিয়ার চাষির কাছ থেকে, ফড়ে, পাইকারের হাত ঘুরে যখন সেই পাতিলেবু আসছে খোলা বাজারে তখন তার দাম দাঁড়াচ্ছে কোথাও ৪টাকা, কোথাও ৬ টাকা, কোথাও আবার ৮টাকা। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের। এখন লেবুর বাজারে ফড়েদের উৎপাত কমাতে সরকার কতটা এগিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা।