বীরভূমের বাসিন্দা রাজীব দাস ও তাঁর স্ত্রীর ভ্য়াকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর প্রায় ৪২দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। অগত্যা বীরভূমের সিউড়ির ওই বাসিন্দা সিউড়ি সদর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের দাবি, সেখান থেকে বলা হয় ১০জন না হলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। এরপর কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। কীভাবে ১০জন জোগাড় করবেন তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর আচমকাই তাঁর মোবাইলে একটি লিঙ্ক আসে। সেই লিঙ্ক খুলতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সেখানে ওই দম্পতির নামে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট ইস্য়ু করা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
রাজীব দাস নামে ওই ব্যক্তি বলেন, 'প্রথম ডোজ আমি পেয়েছি। দ্বিতীয় ডোজ পাইনি। অথচ আমার ও আমার স্ত্রীর নামে সেকেন্ড ডোজ পাওয়ার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যদফতরের এই ভূতের রাজত্বে থেকে অব্যাহতি চাইছি। দশজন না হলে টিকা দেওয়া যাবে না বলছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কারা কারা দ্বিতীয় ডোজ নেবে এটা খুঁজে বের করা কি আমাদের পক্ষে সম্ভব? আমাদের তথ্য দিক। আমরা ফোন করে করে দশজনকে ডাকব। কিন্তু সরকারি ডেটাও ওরা দেবে না বলছে। আমার কিছু হলে কি স্বাস্থ্য দফতর দায় নেবে? তবে গোটা ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।