ইয়াসের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে বাংলার উপকূল এলাকায়। দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার উপকূলবর্তী গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর রাত যত বাড়ছে ততই ফুঁসে উঠছে সমুদ্র। ইতিমধ্যেই মুষলধারায় বৃষ্টিও হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যেই ইয়াস মোকাবিলায় দিঘায় নামানো হয়েছে সেনা। তৈরি রয়েছে এনডিআরএফ ও নৌবাহিনী। দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশও সতর্ক রয়েছে।
এসবের মধ্যেই রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়ার শ্য়ামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্র সংলগ্ন বাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করে। তাজপুর, শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও সমুদ্রের লোনা জল ঢুকতে শুরু করে। এদিকে চাষের জমিতে লোনা জল ঢুকে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। কিছু জায়গায় দ্রুত রাস্তা কেটে জল বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কাকদ্বীপে ক্রমেই বাড়ছে জলোচ্ছাস। সেখানেও বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে পারে গ্রামে। শঙ্করপুরেও জলোচ্ছাস গার্ডওয়াল টপকে যাচ্ছে। সন্দেশখালির তুসখালি গ্রামেও এদিন বাঁধে ফাটল দেখা যায়। হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁতেও একাধিক নদী বাঁধে ফাটল মেরামতির কাজ চলছে। এদিকে ইয়াস ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এর জেরে সাগরের শিলপাড়া গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগান সেচদফতর। স্থানীয় বাসিন্দারাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়াও পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবাতে একাধিক নদীবাঁদে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নির্দেশে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। অন্যদিকে কাকদ্বীপের বিধায়কও এদিন একাধিক নদীবাঁধের দুর্বল অংশগুলি পরিদর্শন করেন। দ্রুত সেগুলি মেরামতির নির্দেশ দেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরেও রূপনারায়ণের বাঁধের ফাটল মেরামতির কাজ হয়েছে।