বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > SSC scam Jalpaiguri: বিয়ের পরদিনই চাকরি গেল শিক্ষক পাত্রের, দুশ্চিন্তায় দুপক্ষের পরিবার

SSC scam Jalpaiguri: বিয়ের পরদিনই চাকরি গেল শিক্ষক পাত্রের, দুশ্চিন্তায় দুপক্ষের পরিবার

বিয়ের পর শিক্ষকের চাকরি বাতিল। প্রতীকী ছবি

২০১৭ সালে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব রায়। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ির ওই স্কুলের শিক্ষকতা শুরু করেন। এরইমধ্যে তার পরিবারের তরফে পাত্রীও দেখতে শুরু করা হয়। সেই মতোই পাত্রীও পছন্দ হয়। অন্যদিকে শিক্ষক পাত্র পাওয়ায় হাতছাড়া করতে চাননি পাত্রীর পরিবার। 

সরকারি চাকরিজীবী পাত্র পেয়ে হাতছাড়া করতে পারেনি পরিবার। সেইমতোই ধুমধাম করে পাত্র পাত্রের বিয়ে হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিয়েতে খুশি ছিল উভয়পক্ষ। কিন্তু, সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হল না। বিয়ের পরের দিনই চাকরি চলে গেল পাত্রের। ওই পাত্রের নাম প্রণব রায়। তিনি জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। জলপাইগুড়ির রাজডাঙ্গা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। শুক্রবার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৮৪২ জন স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রয়েছে প্রণব রায়ের নাম। স্বাভাবিকভাবেই এরপরে দুশ্চিন্তায় দুপক্ষের পরিবার।

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব রায়। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ির ওই স্কুলের শিক্ষকতা শুরু করেন। এরইমধ্যে তার পরিবারের তরফে পাত্রীও দেখতে শুরু করা হয়। সেই মতোই পাত্রীও পছন্দ হয়। অন্যদিকে শিক্ষক পাত্র পাওয়ায় হাতছাড়া করতে চাননি পাত্রীর পরিবার। দুপক্ষের পছন্দে গত বৃহস্পতিবার ধুমধাম করে বিয়ে হয় পাত্রপাত্রীর। বিয়ের পর শুক্রবার বউকে নিয়ে ফেরেন পাত্র। আর তারপরেই মেলে দুঃসংবাদ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পরেই জানা যায় প্রণব রায়ের নাম নিয়োগ দিতে জড়িত রয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় চাকরি হারিয়েছেন বহু শিক্ষক– শিক্ষাকর্মী। বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তারা এমনিতেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। তারই মধ্যে বিয়ের পরদিনই চাকরি যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, ‘ফুলশয্যা নয় কণ্টকশয্যা হবে।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘বৃহস্পতিবার বিয়ে, শুক্রবার গেল চাকরি, শনিবার বউভাত।’ আদৌও ফুলশয্যা হবে তো তা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে, রাজাডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। আদালতের নির্দেশ মানতে হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন