পুজোর মরসুমেই নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন চাঁদমালা শিল্পীরা। দুর্গাপুজোর কয়েকমাস আগে থেকে তাঁদের নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না। এবারও নানা সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। অবশেষে একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন চাঁদমালা শিল্পীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনাতে বহু পরিবার এই চাঁদমালা ও মালা তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ওই পরিবারগুলির দাবি গতবছর করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির জেরে পুজোর সামগ্রিক আয়োজনে ভাটা পড়েছিল। তবে এবার তাঁদের আশা বাজার এবার গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো যাবে। এনিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। একটু লাভের আশায় দ্বিগুণ উদ্য়মে কাজ শুরু করে দিয়েছেন শিল্পীরা।
তবে চাঁদমালার শিল্পীরা জানিয়েছেন জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। তার সঙ্গেই চাঁদমালা ও মালা তৈরির কাঁচামালের দামও কিছুটা বেড়েছে। যার জেরে এবার চাঁদমালার দামও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এবার বড় মালার চাহিদা গত বারের তুলনায় কিছুটা কম। সেকারনেই ছোট চাঁদমালা বেশি করে তৈরি করছেন তাঁরা। কারিগরদের একাংশের দাবি, পুজো আদৌ কতটা হবে তা নিয়ে নানা দোলাচলে ভুগছিলেন অনেকেই। পুজো কমে গেলে চাঁদমালার চাহিদাও কমে যায়। তবে বিধি মেনে দুর্গাপুজো হবে বলে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। তারপরই চাঁদমালার কারিগররা নতুন উদ্যম নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়়েন। চাঁদমালা শিল্পীদের দাবি, পুজো যথাযথ হলে গতবছরের ক্ষতি এবার অনেকটাই পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।