কোভিডের আক্রমণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছিল অনেকটাই। এবার সেই শরীরে হানা দিয়েছিল বিশেষ ধরণের ছত্রাক যা চিকিৎসা পরিভাষায় মিউকরমাইকোসিস নামে পরিচিত। সেই ছত্রাকের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রোগিণীর চোখ। শিলিগুড়িতে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেই মহিলার অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর প্রাণ বাঁচাতে একটি চোখ বাদ দিতে হয়েছে। আপাতত সিসিইউতে রয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকদের মতে, মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে চলে গিয়েছে এমন ব্যক্তির শরীরেই বাসা বাঁধতে পারে বিশেষ ধরণের ছত্রাক। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে এই রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যাঁদের হাই সুগার রয়েছে তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি স্টেরয়েড যাঁরা নিচ্ছেন তাঁদেরকেও চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চলতে হবে। ক্যানসার আক্রান্তদেরও সাবধান হওয়া দরকার। কিছু সতর্কতা মেনে চললে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে চিকিৎসকদের দাবি, এটি সরাসরি একজন থেকে অপরজনের শরীরে সংক্রামিত হয় না। তবে এই ছত্রাক সংক্রামিত হলে চোখ, মুখের একাংশ, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগিণীর মুখের একদিকের অংশ ও একটি চোখ বাদ দিতে হয়েছে। তবে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর প্লাস্টিক সার্জারি করে তাঁর মুখের আদল ঠিক করা যেতে পারে। মেডিকেল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, যাঁরা স্টেরয়েড নিচ্ছেন ও যাঁরা স্টেরয়েড দিচ্ছেন তাঁদের সতর্ক হতে হবে। ক্যানসার ও সুগার রয়েছে এমন ব্যক্তিকেও সতর্ক হতে হবে।