অঝোর ধারায় বৃষ্টি। সুখী গৃহকোণে ভালোই ছিলেন বাসিন্দারা। এদিকে প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে রানিগঞ্জের একটি বাড়ির দরজার সামনে আশ্রয় নিয়েছিল একটি কুকুর। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ওই পরিবারের এক সদস্য। এরপরই বাঁশ দিয়ে তিনি ওই কুকুরটিকে পেটাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ব্যাপক পেটানো হয় সারমেয়টিকে। তীব্র চিৎকার শুরু করে ওই সারমেয়টি। কিন্তু তারপরেও সেটি মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। একসময়ে প্রবল মার সহ্য করতে না পেরে মারা যায় সারমেয়টি। এরপরই এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায়। রাণীগঞ্জের অশোকপল্লির ওই ঘটনার কথা জানতে পারেন ভয়েসলেস নামে পশুপ্রেমীদের একটি সংগঠন। তারাই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুকুরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। তবে ঘটনার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। এলাকাতেও ঘুরে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,অভিযুক্ত সঞ্জিত চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তির গরুর খাটাল রয়েছে। তার বাড়ির বারান্দাতেই আশ্রয় নিয়েছিল কুকুরটি। এরপরই তিনি ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। এদিকে পশুপ্রেমী সংগঠনের দাবি গোটা ঘটনাটি তাঁরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছেন। সংগঠনের সম্পাদক সৌরভ মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ‘পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এই পাশবিক কাজের শাস্তি হওয়া উচিৎ।’ প্রসঙ্গত এর আগেও এই বাংলাতেই সারমেয়কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা হয়েছিল। এনিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। তারপরেও ফের সেই একই ঘটনা।