আলিপুরদুয়ারে ফের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একটি হাতির। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, খাবার খুঁজতে বেরিয়ে কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় হাতেটির। তবে এক্ষেত্রে আদৌও হাতিটির মৃত্যু বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ফলে হয়েছে নাকি এর পিছনে চোরাচালানকারীদের হাত রয়েছে? তা খতিয়ে দেখছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে বরবটি ক্ষেতে মৃত হাতির দেহ! বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মনে করছে বন দফতর
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতো এদিন স্থানীয়রা জলদাপাড়া সংলগ্ন ওই এলাকায় কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময় এলাকার একটি সুপারি বাগানে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃত হাতিটি দেখতে এদিন সেখানে ভিড় করেন এলাকার প্রচুর মানুষ। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। পরে বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছন। এর পাশাপাশি খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছয়। বনকর্মীরা হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
কীভাবে হাতির মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় বনবিভাগের কাছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, হাতিটি যেখানে মারা গিয়েছে তার উপরে বিদ্যুতের একটি লাইন রয়েছে। হাতটিটি খাবারের খোঁজে শুঁড় তুলতেই সেটি বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে। তার ফলে হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। দিনেন রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এই এলাকায় প্রায়ই জঙ্গল থেকে হাতি আসে। এখন মাঠে ধান রয়েছে। ফলে এখন ঘন ঘন হাতি আসছে ওই এলাকায়। ওই হাতিটিও খাবারের খোঁজ এসেছিল। শুঁড় দিয়ে বিদ্যুতের তার স্পর্শ করতেই হাতিটি মারা যায়। তবে এর পিছনে চোরাচালানকারীদের হাত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা। হাতির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ার পরেই এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট জানা যাবে বলে বনদফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে। গত মার্চে চাষের জমিতে লাগানো বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয়েছিল একই হাতির। সেই ঘটনাটিও আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকে ঘটেছিল। এছাড়াও, গত অগস্টে আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গল লাগোয়া শিলটং পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দাঁতাল হাতির মৃত্যু হয়েছিল।