একসময়ের ফরওয়ার্ড ব্লকের গড় বলে পরিচিত ছিল কোচবিহার। সেই কোচবিহারের ৯টি আসনের মধ্যে এবার ৭টিতেই কুপোকাত তৃণমূল। সেগুলি এবার গিয়েছে বিজেপির দখলে। দুটি আসনে মাত্র শিকে ছিঁড়েছে তৃণমলের ভাগ্যে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গোটা রাজ্যে যখন সবুজ সুনামিতে ওলটপালট গেরুয়া ব্রিগেড, তখন কোচবিহারে বিজেপি শিবিরের মুখে চওড়া হাসি। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহারে যে দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তাঁরা দুজনেই ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে আগত। দুজনেই বাম জমানায় এলাকায় ফব'র দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁরাই এবার কোচবিহারে ঘাসফুলের মান রেখেছেন।
সিতাই কেন্দ্রে এবার জিতেছেন জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। দশ বছর ধরে তিনি ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন দাপুটে নেতা। সেই জগদীশ বসুনিয়া এবারও তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মেখলিগঞ্জ আসন থেকে জিতেছেন পরেশি অধিকারী। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি। তিনিও একসময় ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্যস্তরের নেতা ছিলেন। বাম জমানায় ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। সেই তিনিও এবার জিতেছেন তৃণমূলের টিকিটে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে যাঁরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন,তৎকালীন সময়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে এলাকায় দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতেন তাঁরাই এবার পরাজিত। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও এবার হেরেছেন। তাঁরা কার্যত এখন ব্যাকবেঞ্চে। তবে কি রাশ এখন প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতাদের হাতে? তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তনী বলে কিছু নয়। তাঁরা এখন তৃণমূলেরই নেতৃত্ব।