মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি জমিতে বেআইনি দখলদারি হঠাতে গিয়ে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যের হুমকির মুখে পড়লেন মহিলা সরকারি আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে। সেখানে বনদফতরের ওই আধিকারিককে ‘১৫ দিন আয়ু’ বলে হুমকি দেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
আরও পড়ুন - গ্রেফতারির পর হাসপাতালে বসেও রেশন দুর্নীতির টাকার বখরা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়: ED
পড়তে থাকুন - বারো বছরের পুরনো ঘটনায় নবদ্বীপে ইসকনের প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ
তাজপুর সমুদ্র সৈকতে বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন বনদফতরের সরকারি আধিকারিক মনীষা সাউ। অভিযোগ, সেখানে হাজির হন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। কেন ওই আধিকারিক রাতে অন্ধকারে অবৈধ নির্মাণ ভেঙেছেন সেই প্রশ্ন তুলে তাঁকে মুখে যা আসে তাই বলতে শুরু করেন তিনি। মহিলা ওই আধিকারিককে জানোয়ার, বেয়াদব বলেও গালি দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তাজপুর সৈকতে বনদফতরের জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন অস্থায়ী দোকান তৈরি করেন। শুক্রবার দোকানগুলি ভেঙে দেয় বন দফতর। এর জেরেই মন্ত্রীর রোষে পড়েন মহিলা আধিকারিক। মনীষা দেবীকে হুমকি দিয়ে অখিলবাবু বলেন, ‘ম্যাডাম আপনি সবাইকে নিয়ে চলুন। নইলে বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনার আয়ু ৭ – ৮ দিন, বড়জোড় ১০ দিন।’ এমনকী ওই মহিলা আধিকারিককে পালটা হুমকি দিয়ে অখিলবাবু বলেন, ‘বনদফতরে কী কী দুর্নীতি হয় সব জানি। বিধানসভায় সব ফাঁস করে দেব।’
এর পর অখিলবাবু মহিলা আধিকারিককে ফের হুমকি দেন। বলেন, ‘২৫ ফুট জমি আমরা দখল করলাম। এর মধ্যে এলে ফেরত যেতে পারবেন না। এরকম বেয়াদব, জানোয়ার রেঞ্জার আমি জীবনে দেখিনি।’
আরও পড়ুন - স্কুলের মিড - ডে মিলের চাল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা
অখিলবাবুর বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছে তৃণমূল। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘মহিলাদের তৃণমূল কোন দৃষ্টিতে দেখে সেটা আবার বোঝা গেল। এটাই অখিলবাবুদের দলের শিক্ষা।’