বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে ‘সভ্যতা’র লড়াই যেন দিন দিন আরও নৃশংস হয়ে উঠছে ডুয়ার্সের জঙ্গলে। আর সেই লড়াইয়ে এবার ক্ষতবিক্ষত হল একটি চিতাবাঘ। সবার চোখের সামনে কাঁটাতারের বেড়ায় রক্তাক্ত হল তার দেহ। ঘটনা জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের ধূপঝোরা এলাকার। ঘুমপাড়ানি গুলিতে নিশ্তেজ করে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন বনদফতরের কর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটিকে বাঁচানো যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকায় বন্যপ্রাণীদের যাতায়াত লেগেই থাকে। সেখানেই জঙ্গল কেটে তৈরি হয়েছে চা বাগান। তৈরি হয়েছে রিসর্ট। আর সেখানে হিংস্র প্রাণীদের রুখতে বেআইনিভাবে দেওয়া হয় ধারাল ব্লেড লাগানো কাটাতারের বেড়া। তাতে মাঝে মধ্যেই আহত হয় হাতিরা। সেই ক্ষত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে জীবন্ত পচতে পচতে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় তারা। শুক্রবার সেরকমই এক চা বাগানে দেওয়া কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যায় একটি চিতাবাঘ। প্রাণীটির আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে।
ওদিকে চিতাবাঘ দেখতে সেখানে ভিড় করতে থাকেন পুজোর ছুটিতে আসেপাশের রিসর্টে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। বনদফতরের খুনিয়া বিটের কর্মীরা যখন এসে পৌঁছন ততক্ষণে নিজেকে বন্ধনমুক্ত করতে কাঁটাতারের বেড়ায় ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে চিতাবাঘটি। বনদফতরের কর্মীরা পৌঁছে প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি করে প্রাণীটিকে নিশ্তেজ করেন। তার পর জাল দিয়ে ধরে সেটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় মাঝে মাঝেই চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে। খুব ভয়ে থাকি। বনদফতর চিতাবাঘ ধরার খাঁচা বসালে সমস্যা কিছুটা মেটে। কিন্তু তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না।