'বাড়িতে কিছু না জানিয়ে বেঙ্গালুরুতে আমার ছেলের কাছে চলে গিয়েছিল মেয়েটি'

তিনি বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলে ৪ মাসের সম্পর্ক ছিল। ছেলে হোটেলে চাকরি পেয়ে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরই তাকে সেখানে কাজ জোগাড় করে দিতে অনুরোধ করতে থাকে মেয়েটি।

কৃষ্ণনগরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অভিযুক্ত রাহুল বসুর মা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার ১৫ দিন পর কাউকে কিছু না জানিয়ে বেঙ্গালুরু চলে যায় তরুণীও। পরে বাড়ির চাপে ফেরত আসে সে। এমনকী তরুণী রাহুলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল বলেও দাবি পরিবারের।

ধৃত রাহুল বসুর মা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে বাড়িতেই ছিল রাহুল। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমিয়েছে। আমার ছেলে কোনও অপরাধ করতে পারে বলে মনে করি না। তবে সে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার যেন শাস্তি হয়।

P রাহুল বেঙ্গালুরু যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সে বাড়িতে কিছু না জানিয়েই বেঙ্গালুরু চলে যায়। আমার ছেলে তাকে কোনও কাজ জোগাড় করে দিয়েছিল মনে হয়। কিন্তু বাড়ি থেকে চাপ দেওয়ায় কিছুদিন পরে ফিরে আসে মেয়েটি।’

খুনে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন রাহুল নিজেও। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ছিলাম না। আমি রানাঘাটে ছিলাম।’ ঘটনার সময় তিনি কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তখন আমি বাড়িতে ছিলাম’। তাহলে মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে তার কাছে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গেল কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত জানায়, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। সেজন্য এক বন্ধুকে নিয়ে আমি মাঠে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সে আসেনি।’ তরুণীর সঙ্গে তাঁর ফোনে শেষ কী কথা হয়েছিল? জবাবে রাহুল বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম। আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখিস না।’ তিনি দাবি করেন, আমার সঙ্গে সারাদিন ওর কখনও দেখাই হয়নি।