এরাজ্যে বিচার নেই। এরাজ্যে দালালরাজ চলছে। তাই সবাই মিলে মরে যাওয়াই ভালো। বুকফাটা হাহাকার করে সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানালেন জয়নগরের নিহত কিশোরীর পিসি। এদিন তিনি জানান, ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হন তাঁর নিজের মেয়েও। তার পর অভিযুক্তদের লাগাতার হুমকি ও পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন যুবতী।
আরও পড়ুন - পাচারের সময় নদিয়া সীমান্তে উদ্ধার আজব প্রাণী, জানেন এর নাম কী?
পড়তে থাকুন - অপেক্ষা আর কয়েক দিনের, ভারতের আরও ৬০০ কিমি কাছে চলে আসবে আফ্রিকা
নির্যাতিতার পিসি এদিন বলেন, ‘কালকে আমার ভাইটা লোকের কাছে কত কাকুতি মিনতি করেছেয। পুলিশ ওকে যদি একটু সহযোগিতা করত তাহলে আমাদের ছোট্ট বাচ্চাটা পাওয়া যেত। জীবিত অবস্থায় পাওয়া যেত। এই ছোট্ট বাচ্চাটা পেলাম না। পুলিশের গাফিলতিতে পেলাম না। এ কোন রাজ্য? এ তো দালাল রাজ্য। ওর থেকে আমরা সবাই মিলে মরে যাওয়াই মনে করি ভালো। আমরা মানুষের রূপে বেড়াচ্ছি। মানুষ নেই আর।’
আরও পড়ুন - পদ হারিয়ে বেকায়দায় প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত, হতে পারে ২ বছরের জেল
তাঁর আক্ষেপ, ‘কাল আমার ভাইকে একবার জয়নগর থানা থেকে বলছে এটা কুলতলি থানার আন্ডারে। আবার কুলতলি থানা থেকে বলছে এটা জয়নগর থানার আন্ডারে। আন্ডার আন্ডার করতে করতে আজকে আমার ভাইয়ের মেয়েটাকে পুরো থেঁতো করে দিল। পুরো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিল। নরপিসাচগুলো পুরো কামড়ে কামড়ে খেয়েছে একদম।’