দিদির বিয়ের জন্য জমানো টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালাল ১৩ বছরের নাবালিকা। তবে সেই টাকা খরচের আগেই স্থানীয়দের তৎপরতায় মেয়ে ও টাকা ফিরে পেল পরিবার। ওই নাবালিকাকে সন্দেহজনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এক হোটেল মালিক থানায় ফোন করে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। তার ব্যাগে ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ থানার মোতিঝিল এলাকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নাম বালিকা সাগরদিঘি থানা এলাকার শেখদিঘির বাসিন্দা। বাড়িতে কোনও কিছু নিয়ে নাবালিকাকে বকাবকি করেছিল তার দিদি। সেই রাগে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোতিঝিলের পাশে একটি টোটোতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখেন হোটেল মালিক। তখন তিনি ওই নাবালিকাকে টোটো থেকে নামিয়ে ওই নাবালিকার নাম ঠিকানা জানতে চান। তা জানার পরে হোটেল মালিকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই নালিকার ব্যাগ খুলতেই হতচকিয়ে যায়। তার ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এত টাকা সে কোথায় পেল? তা জানতে নাবালিকাকে প্রশ্ন করে পুলিশ। পরে সে জানায় বাড়ি থেকেই এই টাকা নিয়ে সে পালিয়েছিল। তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করে পুলিশ।
ওই নাবালিকার ব্যাগে ৫০০ টাকার নোটের দুটি বান্ডিল ছিল। খবর পেয়ে নাবালিকার বাড়ির লোক মুর্শিদাবাদ থানায় যান। নাবালিকার বাবা আইনুদ্দিন শেখ জানান, তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। বড়মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি এই টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। সেই টাকা নিয়েই বড় বোনের সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে তার ছোট মেয়ে। জমানো টাকা ও মেয়েকে ফিরে পাওয়ায় খুশি পরিবারের সদস্যরা।