ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ উদ্ধারে জানা গেল নিহতদের নাম। তবে যে ভাবে তাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব। জানা গিয়েছে, নিহতদের ২ জনের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে নাবালিকার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন - জানা গেল ট্যাংরায় নিহতদের নাম, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব
পড়তে থাকুন - ওসিকে পিটিয়ে গ্রেফতার আরেক ওসি, চাঞ্চল্য পুলিশমহলে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিহতদের নাম সুদেষ্ণা দে, রোমি দে ও প্রিয়ম্বদা দে। এদের মধ্যে সুদেষ্ণাদেবী প্রণয় দের স্ত্রী। রোমিদেবী প্রসূনবাবুর স্ত্রী। এছাড়া প্রসূন ও রোমির মেয়ে প্রিয়ম্বদারও দেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুদেষ্ণাদেবীর হাতে কাটা দাগ পাওয়া গিয়েছে। রোমিদেবীর হাতে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ১৫ বছরের প্রিয়ম্বদার দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখা গিয়েছে। যাতে মনে করা হচ্ছে প্রিয়ম্বদাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। খুন হয়ে থাকতে পারেন রোমিদেবীও। কারণ আত্মঘাতী হওয়ার জন্য নিজের গলায় আঘাত করার ঘটনা বিরল।
তবে এব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি বলেন ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে। তবে দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দেহ বাড়ির একতলার ৩টি আলাদা জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া বাড়ির অন্যান্য তলাতেও রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্রের মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে মৃত্যু হল ১ জনের
বুধবার রাত সওয়া তিনটে নাগাদ বাইপাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন ২ ভাই ও এক ভাইয়ের নাবালক ছেলে। আহতদের উদ্ধার করে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করার পর পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন ট্যাংরায় তাঁদের বাড়ি। বাড়িতে ৩ জনের দেহ পড়ে রয়েছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ট্যাংরার অতুল সূর লেনে পৌঁছে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করে।