মেয়ে চলে যাওয়ার ঠিক ২ মাসের মাথায় দুর্গাপুজো। আর পুজোর ৪ দিন মেয়ের সুবিচারের দাবিতে বাড়ির সামনেই ধরনায় বসতে চলছেন আরজি কর মেডিক্যালে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা - মা। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - 'ছোট্ট বাচ্চাটাকে নরপিসাচগুলো কামড়ে কামড়ে খেয়েছে,এরাজ্যে সবাই মরে যাওয়াই ভালো'
পড়তে থাকুন - শহরের প্রাণকেন্দ্রে চিকিৎসকদের মাথায় করে তক্তাপোষ টানতে বাধ্য করল কলকাতা পুলিশ
রবিবার দুপুরে নিহত চিকিৎসকের বাবা মা বলেন, ‘আমরা পুজোয় বাড়িতে আনন্দে থাকতাম। এই বাড়িতে তো আর কোনও দিন পুজো হবে না। তাই সাধারণ মানুষের মতো আমরা পুজোর ৪ দিন উঠোনে থাকব। ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী। সেজন্য বাড়ির উঠোনে একটা মঞ্চ বেঁধেছি। ওই মঞ্চে আমাদের পরিবারের লোকেরা থাকবেন। আমরা কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি। তবে যার ইচ্ছা করবে আসবেন। যে কেউ আসতে পারেন।’
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা মা বলেন, ‘দুর্ঘটনাটা কার? যারা ঘটাল তাদের দুর্ঘটনা। আমার মেয়ে তো ডিউটিতে ছিল। ইচ্ছাকৃত ধর্ষণ ও খুন, এটাকে উনি দুর্ঘটনা বলবেন? তাহলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটটাও কি দুর্ঘটনা? আমি মা হিসাবে ওনার কাছে জানতে চাই।’
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের পর বিনীত গোয়েলের ‘কনফিডেন্স’ জয়নগর কাণ্ডে বারুইপুরের SPর মুখে
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে উদ্বেগ প্রকাশ করে কার্যত কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশনে বসেছেন, ওরা না খেয়ে রয়েছে, আমি খুব কষ্টে আছি। আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি। এখন তো ওরাই আমার সন্তান। ওরা না খেয়ে রয়েছে তাই আমি খুব কষ্টে আছি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব ওদের সঙ্গে আলোচনা করে যে সমস্যার সমাধান করেন।’