সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার মুখে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। শুক্রবার তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকায় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেরিয়ে সন্দেশখালির দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে লকেটকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির শাহজাহানের বিরুদ্ধে নয়া মামলা, কলকাতার আশেপাশে ৬ জায়গায় হানা ইডির
শুক্রবার সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেরহাটে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা চলে তাঁর। কিন্তু কোনও ভাবেই পিছু হঠতে রাজি ছিলেন না লকেট। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে লালবাজারে সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে আসে তারা।
ধামাখালিতে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রসহ অন্যান্য সদস্যদের আটকায় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলে জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সঙ্গে দেখানো হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ। দীর্ঘক্ষণ সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা চলে তাঁদের।
আরও পড়ুন: হোটেলে চলছিল মধুচক্র, হানা দিয়ে ২ নাবালিকাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গ্রেফতার বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের পরিবরের সঙ্গে কথা বলার পর থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান তিনি। কিন্তু থানায় সুকান্তবাবুকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এর পর থানার গেটের সামনেই ধরনায় বসেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় মহিলারা। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তিনি। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান চলার পর পুলিশ লাঠি চার্জ করে সুকান্তবাবুকে তুলে দেয়। লাঠির ঘায়ে আহত হন কয়েকজন মহিলাও। এর পর পুলিশের নৌকায় করে সুকান্তবাবুকে ধামাখালি ঘাটে ছেড়ে দেন আধিকারিকরা।
ওদিকে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সন্দেশখালিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যার জেরে বেড়মজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধার জারি করেছে পুলিশ।