আরজি কর কাণ্ডের পর কর্মক্ষেত্রে নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হলে তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে শাসক তৃণমূলের তরফে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উদ্দেশে এল আরও এক হুমকি। আর মুখ খুলে ফের বিতর্কে জড়ালেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির। তাঁর সাফ কথা, ‘পাবলিক মরলে চিকিৎসকরাও সুরক্ষিত থাকবেন না।’
আরও পড়ুন - ‘পুলিশ সঙ্গে না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে ১ মিনিট লাগবে না’
পড়তে থাকুন - আরজি কর নিয়ে আর কোনও বিবৃতি নয়, বলবেন শুধু মমতা, নির্দেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে চিকিসকদের নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী। বলেন, চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার পরেও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকরা কাজে যোগদান না করলে রাজ্য সরকারের তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অধিকার থাকবে বলে নির্দেশ দেয়। আর আদালতের সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে চিকিৎসকদের হুমকি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির।
মঙ্গলবার এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আরজি করের নির্যাতিতার দোষীদের কঠোরতম শাস্তি আমরাও চাই। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে সিবিআই তদন্তও হচ্ছে। তাই বলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা দিনের পর দিন কর্মবিরতি পালন করে যাবেন, এজিনিস আর বরদাস্ত করব না।’
আরও পড়ুন - কারচুপি করতে কি ১৪ বছর লাগে? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
এর পরই চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররা যখন সরকারি ভাতা ও বেতন নিচ্ছেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব।সেই জায়গায় আমরা হাত দিলে তখন কী হবে? দিনের পর দিন পরিষেবা বন্ধ করলে প্রতিরোধের অধিকার আমাদেরও আছে। পাবলিক মরছে, তাহলে ডাক্তাররা সুরক্ষিত থাকবেন কেন? ডাক্তারদেরও ঘেরাওয়ের অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়েছে।’